Commision / কমিশন
দেওয়ানি কার্যবিধির ১৫৮ টি ধারা আছে যা বিষয়বৈচিত্র অনুযায়ী ১১টি খণ্ডে বিভক্ত। তার মধ্যে তৃতীয় খণ্ডে আনুষঙ্গিক কার্যক্রম বা Incidental proceedings এই শিরোনামে কমিশন বিষয়ে বলা হয়েছে। এই খণ্ডে ৪ টি ধারা আছে – ৭৫, ৭৬, ৭৭ এবং ৭৮। অন্যদিকে দেওয়ানি কার্যবিধির ২৬ নং আদেশে কমিশন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। ২৬ নং আদেশ এর বিস্তারিত সূচীটি চাইলে এখানে দেখে আসতে পারেন।
যথাযথ ও পূর্ণাঙ্গ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য আদালত কমিশন নিয়োগের ক্ষমতা স্বপ্রণোদিত (Suo moto) হয়ে স্বেচ্ছাধীন (Discretion of court / Discretionary power of court) আকারে প্রয়োগ করতে পারে। তবে মোকদ্দমার কোনো পক্ষ কর্তৃক আবেদনের ফলেও তা আদালত বিবেচনায় নিতে পারে। ২৬ নং আদেশের সমস্ত বিধি পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, নিম্নোক্ত কারণে কমিশন গঠন করা যায়।
ক. কোনো ব্যক্তির স্বাক্ষ্য গ্রহণের জন্য। [ধারা ৭৬, ৭৭ ও ৭৮ এবং ২৬ আদেশের ১ থেকে ৮ নিয়ম পর্যন্ত]
খ. স্থানীয় কোনো তদন্ত অনুষ্ঠানের জন্য। [২৬ আদেশের ৯ ও ১০ নিয়ম]
গ. হিসাব পরীক্ষা বা সমন্বয় করার জন্য। [২৬ আদেশের ১১ ও ১২ নিয়ম]
ঘ. সম্পত্তি বাটোয়ারা করার জন্য। [২৬ আদেশের ১৩ ও ১৪ নিয়ম]
খ. স্থানীয় কোনো তদন্ত অনুষ্ঠানের জন্য। [২৬ আদেশের ৯ ও ১০ নিয়ম]
গ. হিসাব পরীক্ষা বা সমন্বয় করার জন্য। [২৬ আদেশের ১১ ও ১২ নিয়ম]
ঘ. সম্পত্তি বাটোয়ারা করার জন্য। [২৬ আদেশের ১৩ ও ১৪ নিয়ম]
১৫ নং নিয়মে বলা আছে কমিশনের খরচ নির্বাহ করা বিষয়ে। সাধারণত যে পক্ষের আবেদনক্রমে কমিশনকে দায়িত্ব দেয়া হয় তারাই এর খরচ নির্বাহ করে থাকে। এই খরচ আদালতে জমা দিতে হয়।
ফৌজদারি কার্যবিধিতেও কমিশন সম্পর্কিত বিধান রয়েছে। আমরা জানি, ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৬১ টি ধারা আছে যা বিষয়বৈচিত্র অনুযায়ী ৯ টি খণ্ডে ও ৪৬ টি অধ্যায়ে বিভক্ত। এর মধ্যে নবম ভাগে ৪০ অধ্যায়ে “স্বাক্ষীর জবানবন্দী গ্রহণের জন্য কমিশন” শিরোনামে ৫০৩ থেকে ৫০৮ (ক) ধারা পর্যন্ত কমিশন সম্পর্কে বলা আছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন