শনিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৫

চতুরঙ্গের ছায়ানটে

কি হলো আমার নিত্য
ভুবনে চতুরঙ্গের
খেলা খেলিতে মন যে চায়
না ভুবনে থাকিতে
কি হলো আমার ধ্রুব নয়নে আশার
আলো ফুটে ওঠে চারদিকে তুব যেন
নিবে যায় ঘোর তমস্যা ভুবনে
কি হলো আমার দৃঢ় মস্তিকে কিছু
বুঝিতে পারিনা আমি যে , আপন
খেলা খেলিতেছে দিবালোকে কিংবা রজনীতে ,দিবেনা তো ছাড়
ভুবনে কিংবা পরকালে
কি হলো আমার বক্ষের হৃদ শিকরে ,
শোকের ছায়া নেমে আসে মোড়
হৃদপিণ্ডে বসে থাকি একলা নীরব
ঘরে
কি হলো আমার প্রেম বায়ুর তব মম
ছায়ানটে , চার দিকে রঙ্গ খেলায়
আপন মনে
By sheikh jakir

হে বঙ্গ তরনী

শোন হে বঙ্গ তরনী তব
কোলে এসেছি আমি তৃক্ত বিশাল
ভুবনে ,
নাহি খিদা নাই লাজ তব মরি তবু মম
মরি তোমার তৃক্ত বক্ষে ,
শোন হে বঙ্গ তরনী এসেছিনু
তালা বিহীন হস্থে যাব কি পূর্ণের
প্রকাশী কিংবা শূণ্য
খালি হস্থে ,
কিসের ব্যথা কিসের টান কিসের
মায়া তব মম বক্ষে ,
শোন হে বঙ্গ
ভাবি তোমারে তৃপ্তি সহ নয়ন ও
জুরে .
বিধাতা পাঠাইছে আমায় তোমার
বিশাল বক্ষে ,
কত খুশি কত শোক কতই প্রেম
বা ভালবাসা বিধাতা জানে কি পেয়েছি তোমার
বক্ষে ,
প্রেম ছায়া প্রেম
মায়া কিংবা শোক তারা ,তবু ও
আশা রাখি তোমার বক্ষে

W.. Sheikh Jakir

শনিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৫

সাধীনদেশের আইনগুলা যদি হয় অন্যদেশের পালিত আইন তাহলে কি সাধীনদেশ তার সাধীনতা হারায় না

সাধীনদেশের আইনগুলা যদি হয় অন্যদেশের পালিত আইন তাহলে কি সাধীনদেশ তার সাধীনতা হারায় না ,
আইন প্রণয়ন দ্ধারা গনতন্ত তৈরী হয় যার ফলে সমাজ তার সামাজিকতা ফিরে পায় আর এই আইন যদি হয় অন্যের হাতের লিখা তাহলে সাধীনতা তার রুপ হারায় না ।
ইংরেজিরা শাসন করে গেল প্রায় ২০০ বছর , পাকিস্তানের সাথে রক্ত ক্ষয়ী যোদ্ধ হল ৯ মাস , অতপর আসলো সাধীনতা , কিন্তু সাধীন দেশের সাধীন মানুষ আজ ও পরাধীনতার বন্ধনে আবদ্ধ কেননা ।
সাধীনতার ৪৩ - ৪৪ বছর পেরিয়ে গেলো ও আমাদের দেশের আইন গুলা এখন পযন্ত অন্যের দেশের আইনের উপর নিরভরশীল , অন্যদেশের আইন অনুযায়ী আমরা প্রতিনীহত আমাদের দেশের আদালতে নানা ধরনের বিচার করে থাকি এবং শাস্তি হয় মাপ অনুযায়ী ।
কিন্তু কখনো কেউ ভাবেননি অন্যদেশের আইন অনুযায়ী বিচার না করে আমাদের দেশের সাধীন্তা বোধগ্ম্য থেকে আইনবীদ ও প্রধান বিচার বিভাগের বিচারপতিদের তৈরীকৃত আইন ধারা আমাদের দেশের মানুষের বিচার করা , এবং বাস্তব জিবনে সকল প্রকার কাজে আইনবীদ ও বিচার বিভাগের বিচারপতিদের তৈরীকৃত আইন বাস্তবায়ন কারা দরকার ।
কিন্তু বলাবাহ্লল্য আমাদের বাংলাদেশে প্রধান বিচারপতি ২২ জন আর বুদ্ধিজিবি আর আইনবীদের সীমা নেই কিন্তু অবাক হওয়ার বিষয় এখন পযন্ত কোনো বিচারপতি এবং আইনবীদ নতুন কোন আইন তৈরী করেনি এবং লক্ষন উদঘাটন ত অনেক দুরের বিষয় ।
প্রথমে ইংরেজিরা শাসন তারপর পাকিস্তান এখন ভারত শাসন করছে আমাদের তাও আবার তার তৈরীর আইন ধারা সাথে সাথে আবার পুরনো ইংরেজিরা । অন্যের সম্পদ আর নিজের গালে তাপ্পর মারা এক কথা কি নয় ।
বিচারপতিদের বিচার দ্ধারা যদি বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হত তাহলে দেশের আইনও পরিবতন হত কিন্তু তা কি গ্রহন যোগ্য ………………বাস্তবে ইহার সন্দান নেই । কারন আমরা অন্যের রুষানালে থাকতে ভাল বাসি আর এ ভালবাসা অবলোকনে চিরস্তায়ী ।

সোমবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৫

নামজারি কী এবং কেন জরুরি ? কিভাবে নামজারী করবেন এবং নামজারি আবেদনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কী নামজারি আবেদনের পদ্ধতি কী ?

নামজারি কী এবং কেন জরুরি ? কিভাবে নামজারী করবেন এবং নামজারি আবেদনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কী  ? নামজারি আবেদনের পদ্ধতি কী ?

নামজারি কি
                
 এক কথায় নামজারিবলতে-কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোন বৈধ পন্থায় ভূমি/জমির মালিকানা অর্জন করলে
সরকারি রেকর্ড সংশোধন করে তার নামে রেকর্ড আপটুডেট (হালনাগাদ) করাকেই নামজারি বলা হয়। 
কোন ব্যক্তির নামজারি সম্পন্ন হলে তাকে একটি খতিয়ান দেয়া হয় যেখানে তার অর্জিত জমির একখানি সংক্ষিপ্ত হিসাব বিবরণী উল্লেখ থাকে। উক্ত হিসাব বিবরণী অর্থাৎ খতিয়ানে মালিকের নাম, কোন্ মৌজা, মৌজার নম্বর (জে এল নম্বর), জরিপের দাগ নম্বর, দাগে জমির পরিমান, একাধিক মালিক হলে তাদের নির্ধারিত হিস্যা ও প্রতি বছরের ধার্যকৃত খাজনা (ভূমি উন্নয়ন কর) ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে। 
 
 নামজারি
কেন এত জরুরি
 
  শুধুমাত্র কোন দলিলের মাধ্যমে অর্জিত মালিকানার ভিত্তিতে অথবা ওয়ারিশ হিসেবে পিতা-মাতার জমিতে দখলসূত্রে থাকলেই সরকারি রেকর্ডে উক্ত ভূমিতে তাঁর মালিকানা নিশ্চিত হয় না। কোন ভূমিতে বৈধ ওয়ারিশ বা ক্রয়সূত্রে মালিক হবার পর পূর্বের মালিকের নাম হতে নাম কেটে বর্তমান মালিকের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হয়, তাহলেই তার মালিকানা সরকার কর্তৃক নিশ্চিত হয়। আর এটিই হল নামজারি পদ্ধতি।
 আপনি যদি ওয়ারিশ হিসাবে বা ক্রয়সূত্রে কোন জমির মালিক হন কিন্তু নামজারি না করান, তবে আপনার অজান্তে কোনভাবে এক/একাধিক দলিল সম্পাদন করে কোন স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি আপনার আগে নামজারি করে ফেলতে পারে। তাতে আপনি পরবর্তীতে নামজারি করতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়বেন। বাস্তবক্ষেত্রে জটিলতা আরো বাড়তে দেখা গেছে যখন উক্ত স্বার্থানেষী ব্যক্তি অপর এক বা একাধিক ব্যক্তির নিকট ঐ জমি ইতোমধ্যে বিক্রয় করে ফেলেছে। বর্তমানে এরকম ঘটনা অহরহ ঘটছে। এসব ক্ষেত্রে নানারকম মামলা মোকদ্দমার সৃষ্টি হয়ে থাকে যা দীর্ঘদিন যাবৎ অর্থ, সময় ও মানুষে-মানুষে সম্পর্কের অবনতি ঘটায়।  
সাধারণভাবে আমাদের ধারণা, দলিল সম্পাদন হলেই কাজ শেষ। নামজারির দরকার কী? এটি অত্যন্ত ভুল ধারণা। দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে শুধুমাত্র মালিকানা হস্তান্তর হয়, সরকারের খাতায় মালিক হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়া যায় না।  
রেজিস্ট্রেশন দপ্তরটি আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি অফিস। সকল প্রকার দলিল সম্পাদন, রেজিস্ট্রিকরণ উক্ত দপ্তরের কাজ। দলিল রেজিস্ট্রিকরণের ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত যিনি বিক্রেতা তিনি আদৌ উক্ত জমির মালিক হিসাবে সরকারের রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত আছেন কী না তার কোন রেকর্ড জেলা রেজিস্টার বা সাব-রেজিস্টারের দপ্তরে নেই। ফলে ভুলবশত: একই জমির এক বা একাধিক দলিলের মাধ্যমে বিক্রয়ের ঘটনা ঘটে। অপরদিকে ভূমি অফিসগুলি ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন যার কাছে সরকারের কাছে রেকর্ডভুক্ত মালিকদের নাম, পূর্ববর্তী নামজারিকৃত মালিকদের নাম, নথিসহ বিস্তর তথ্য থাকে। ফলে একবার নামজারি করাতে সক্ষম হলে একই জমির একাধিকবার বিক্রয় হলেও মূল মালিকের আর ক্ষতিগ্রস্ত বা হয়রানী হবার সম্ভাবনা কম থাকে।
নামজারি আবেদনের মাধ্যমে আবেদনকারি যে স্বত্বলিপি অর্জন করেন, যাকে প্রচলিত ভাষায় আমরা খতিয়ানবলে থাকিএর মাধ্যমে তার উক্ত জমিতে মালিকানা স্বত্ব প্রমাণে নিশ্চয়তা লাভ করেন যা অন্য কোন দালিলিক মাধ্যমে লাভ করেন না।
নামজারি করা না থাকলে শুধু একাধিক বিক্রয়ের আশঙ্কাই বিদ্যামান থাকেনা, পরবর্তীতে আপনার অর্জিত সম্পত্তিতে দখলে থাকলেও পরবর্তীতে আপনার অবর্তমানে আপনার উত্তরাধিকারগণ উক্ত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবার আশঙ্কা থাকে।
যে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ঋণ নিতে গেলে জমি বন্ধকের ক্ষেত্রে খতিয়ান ছাড়া আবেদন গ্রহণ করা হয় না।
ওয়ারিশনমূলে প্রাপ্ত জমির মালিকরা যদি নামজারি না করান তাহলে তাদের মধ্যে বিশেষত: নারী অংশীদারগণ এবং ভবিষ্যতে তাদের ওয়ারিশগণদের মধ্যে মারাত্নক জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ জন্য ওয়ারিশগণ সমঝোতার মাধ্যমে প্রথমেই নামজারি সম্পন্ন করে রাখলে পরবর্তীতে অনেক জটিলতা পরিহার করা সম্ভব হয়।

 কিভাবে নামজারী করবেন ঃ

প্রথমেই আপনাকে একটা বিশ্বাস রাখতে হবে তা হল, নামজারি একটি সহজ প্রক্রিয়া এবং আপনি নিজেই তা সম্পন্ন করতে পারেন। আরো বিশ্বাস রাখতে হবে, কোন প্রকার দালাল/ভূমিদস্যু/মুন্সী বা অন্য কোন মধ্যস্থতাকারীর সহায়তা ছাড়াই আপনি নিজেই তা করতে পারেন। এতে হয়তো আপনার কিছু সময় ব্যয় হবে কিন্তু আপনার বহু অর্থের অপচয় যেমন বন্ধ হবে তেমনি দালালদের অন্যায় আবদার কিংবা ভূমি অফিসের অসাধু ব্যক্তিদের দ্বারা প্রতারিত হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগান্তির সম্ভাবনা কমে যাবে।
দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, নিজে নামজারি প্রক্রিয়াটি বুঝতে যদি আপনার সমস্যা হয় তাহলে এসি ল্যান্ড সদর সার্কেল অফিসে একটি ‘হেল্পডেস্ক’ বা ‘সেবাকেন্দ্র’ খোলা রয়েছে। একজন দায়িত্ববান অফিস সহকারী সার্বক্ষণিক আপনাকে সহযোগিতার জন্য নিয়োজিত আছেন। আপনার যে কোন সমস্যায় তিনি সহযোগিতা করবেন (জনাব আলী হোসেন, মোবাইল নম্বর: 01770-777000)।
তারপরও যদি কোন বিষয়ে আপনার অধিকতর জানার প্রয়োজন থাকে তাহলে আপনি সরাসরি এসি ল্যান্ডের সাথে যোগাযোগ করতে দ্বিধা করবেন না (01733334360, 031-630484)। আমরা বরং খুশী হবো।

এখন চলুন আমরা জানি নামজারি কীভাবে করতে হয়। প্রথমে আপনাকে কয়েকটি বিষয় জানতে হবে যা নীচে দেয়া হল:
নামজারি করা কখন প্রয়োজন হয়:
• ভূমি মালিকের মৃত্যুর কারণে উত্তরাধিকারদের নাম সরকারি রেকর্ডে রেকর্ডভুক্ত করতে হয়; 
• জমি বিক্রি, দান, হেবা, ওয়াকফ, অধিগ্রহণ, নিলাম ক্রম, বন্দোবস্ত ইত্যাদি সূত্রে হস্তান্তর হলে নতুন ভূমি মালিকের নামে রেকর্ডভুক্ত করতে হয়;
• দেওয়ানী বা সিভিল কোর্টের রায় বা ডিক্রীমূলে মালিকানা লাভ করলে সে রায় মোতাবেক নামজারির আবেদন করা যায়।

নামজারি আবেদনে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

প্রথমেই জেনে রাখা প্রয়োজন, একটি পূর্ণাঙ্গ নামজারি আবেদনের জন্য আপনার নিচের কাগজপত্রগুলি থাকতে হবে:
• মূল আবেদন ফরম্ http://www.acland-sadarctg.gov.bd/images/%20-%20.jpg (এটি বাধ্যতামূলক)
• ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি (একাধিক ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রত্যেকের জন্যও প্রযোজ্য) (বাধ্যতামূলক)
• সর্বশেষ খতিয়ান (যাঁর নিকট হতে জমি ক্রয় করেছেন বা উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছেন তাঁর খতিয়ান) (এটি বাধ্যতামূলক) [খতিয়ানের একটি ফরম্যাট দেখতে এখানে ক্লিক করুন]
• ২০ টাকা মূল্যের কোর্ট ফি (বাধ্যতামূলক)
• ওয়ারিশসূত্রে মালিকানা লাভ করলে অনধিক তিন মাসের মধ্যে ইস্যুকৃত মূল ওয়ারিশন সনদ (শুধুমাত্র ওয়ারিশগনদের জন্য বাধ্যতামূলক)। এর সাথে মনে রাখতে হবে যে, রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ১৪৩B ধারা মোতাবেক কোন রেকর্ডিয় মালিক মৃত্যুবরণ করলে তার ওয়ারিশগণ নিজেদের মধ্যে একটি বন্টননামা সম্পাদন করে রেজিস্ট্রি করবেন। উক্ত রেজিস্টার্ড বন্টননামাসহ নামজারির জন্য আবেদন জানাবেন। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য-বেশিরভাগ ওয়ারিশগণ এই নিয়মটি প্রতিপালন করেন না এবং ভবিষ্যতে সমস্যার মুখোমুখি হন। 
• জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/জাতীয়তা সনদ (ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক ইস্যুকৃত) (বাধ্যতামূলক)
• ক্রয়সূত্রে মালিক হলে দলিলের সার্টিফায়েড/ফটোকপি (ক্রয়সুত্রে মালিক হলে বাধ্যতামূলক)
• বায়া/পিট দলিলের ফটোকপি (একাধিকবার উক্ত জমি ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকলে সর্বশেষ যার নামে খতিয়ান হয়েছে তার পর থেকে সকল দলিলের কপি প্রয়োজন হবে, অর্থাৎ বাধ্যতামূলক)
• চলতি বঙ্গাব্দ (বাংলা সনের) ধার্যকৃত ভূমি উন্নয়ন কর (এলডি ট্যাক্স) বা খাজনার রশিদ (বাধ্যতামূলক)
• আদালতের রায়ের ডিক্রির মাধ্যমে জমির মালিকানা লাভ করলে উক্ত রায়ের সার্টিফায়েড/ফটোকপি (বাধ্যতামূলক)

উল্লেখ্য, উপরোক্ত কাগজপত্রের সবগুলিই যে আপনার জন্য প্রয়োজন হবে, তা নাও হতে পারে। কোনভাবে আপনি মালিকানা লাভ করেছেন তার উপর নির্ভর করবে কোন্ কোন্ সংযুক্তি আপনার প্রয়োজন হবে। 

নামজারি আবেদনের পদ্ধতি:
যেভাবে পূর্ণাঙ্গ আবেদন করবেন তা ধারাবাহিকভাবে নিম্নে বর্ণণা দেয়া হল:
১. আবেদন ফরমের সকল তথ্য যথাযথভাবে পূরণ করবেন। বিএস খতিয়ান নম্বর বা বিএস দাগ নম্বর জানা না থাকলে আপনার সাথে যে খতিয়ানের উপরে লেখা আছে তা দেখে পূরণ করুন। আবেদন পূরণ হয়ে গেলে নীচে আপনার স্বাক্ষর এবং অবশ্যই আবেদনকারীর প্রকৃত মোবাইল নম্বর (যেখানে পরবর্তীতে আপনার মেসেজ যাবে) তা উল্লেখ করুন। এবার আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবিটি আবেদনপত্রের উপর সংযুক্ত করুন এবং অন্য সকল কাগজপত্র একত্রে সংযুক্ত করে হেল্পডেস্ক বা সেবাকেন্দ্রে জমা দিল। সেখানে আপনাকে একটি রশিদ দেয়া হবে এবং পরবর্তী তারিখগুলি জানিয়ে হবে। 
আবেদন ফরম ও নামজারি সংক্রান্ত নির্দেশিকা (নামজারি বিষয়ে সহজ ধারণার জন্য) ডাউনলোড করতে নীচের লিংকে ক্লিক করুন:
আবেদন ফরম ও নির্দেশিকা ফরম-
২. যদি এতেও আপনার কোন কিছু বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে আমাদের হেল্পডেস্কে আসুন, সেখানে সকল প্রকার ফরম্, কোর্ট ফি (20 টাকা) সহ মাত্র 40 টাকায় প্রদান করা হয়। আপনার কাগজপত্র সঠিক আছে কীনা তাও প্রাথমিকভাবে যাচাই করা হবে। [আমাদের ফ্রন্টডেস্কের কর্মচারীদের সম্পর্কে ওয়েবসাইটে তথ্য ইতোমধ্যেই দেয়া হয়েছে। আপনার দাখিলকৃত আবেদন পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র নিকট উপস্থাপন করা হবে এবং পরে তা সংশ্লিষ্ট ভূমি-সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার নামে অধিক পরিচিত) নিকট প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য পাঠানো হবে। ভূমি-সহকারী কর্মকর্তার নিকট আপনার আবেদন পাঠানো হলে আপনাকে SMS এর মাধ্যমে জানানো হবে। উক্ত SMS পাবার পর আপনি ভূমি-সহকারী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করবেন।
৩. ভূমি-সহকারী কর্মকর্তা (ভূসক)’র নিকট আপনার আবেদন প্রেরণের ২০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন এসি ল্যান্ড অফিসে দাখিলের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আপনি/আপনার উপযুক্ত প্রতিনিধিকে আপনার আবেদনে যেসব কাগজপত্র দাখিল করেছিলেন তার মূলকপি ভূসকের নিকট প্রদর্শনের জন্য এবং বকেয়া ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জন্য যেতে হবে। উল্লেখ্য, ভূমি উন্নয়ন কর বকেয়া থাকলে বর্তমানে কোন নামজারি করা হয় না। 
৪. ভূসক কর্তৃক আপনার সকল কাগজপত্র যাচাইয়ের পর তিনি একটি প্রতিবেদনসহ এসি ল্যান্ড অফিসে প্রেরণ করবেন। এ পর্যায়ে SMS এর মাধ্যমে আপনাকে জানানো হবে কখন আপনার আবেদন এসি ল্যান্ড অফিসে পৌঁছেছে। এ পর্যায়ে আপনাকে আবেদন প্রাথমিকভাবে যথার্থ পাওয়া গেলে অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষদেরকে নিয়ে শুনানীর জন্য একটি তারিখ নির্ধারণ করা হয়। শুনানীর দিন কোন আপত্তি না পাওয়া গেলে সর্বশেষে তা এসি ল্যান্ডের নিকট চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। ভূসকের নিকট হতে এসি ল্যান্ড অফিসে নামজারির নথি আসার পর সর্বোচ্চ ২০ কার্যদিবসের মধ্যে আপনার আবেদন অনুমোদন (যথার্থ থাকলে)/ খারিজ (যৌক্তিক কারণে) হবে যা আপনাকে SMS এর মাধ্যমে জানানো হবে।
৫. আপনার নামজারির আবেদন চূড়ান্ত অনুমোদনের পর খতিয়ান প্রস্তুতের জন্য ২ দিন সময় লাগে। কারণ এ পর্যায়ে রেকর্ড হতে অনুমোদিত হিসাব অনুযায়ী জমি কর্তন করা হয় এবং প্রস্তুতকৃত খতিয়ান স্বাক্ষর করার জন্য উপস্থাপন করা হয়। এই পর্যায়ে আপনাকে এসি ল্যান্ড অফিসে যোগাযোগ করে ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রশিদ) বা সহজ কথায় নামজারি ফি বাবদ ২৪৫/- পরিশোধ করে খতিয়ান সংগ্রহ করতে হবে। 
এভাবেই আপনার নামজারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আশা করি বিষয়টি খুব কঠিন মনে হয় নি।

বিশেষ দ্রষ্টব্য
• উপরোক্ত নামজারি প্রক্রিয়াটির প্রতিটি পদক্ষেপ অনুযায়ীই বেশিরভাগ (প্রায় ৯০%) নামজারি মামলা সম্পন্ন করা হয়। তবে কোন কোন নামজারি মামলা প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ/আপত্তি/দখল/দলিল/ওয়ারিশগণদের মধ্যে বন্টন সংক্রান্ত সমস্যা ইত্যাদির কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নামজারি সম্পন্ন সম্ভব না-ও হতে পারে। এসব জটিলতার কারণে নির্ধারিত প্রক্রিয়ার বাইরে এসি (ল্যান্ড) এর নির্দেশনা অনুযায়ী সম্পন্ন হয়ে থাকে।
• একটি নামজারি প্রক্রিয়া নিষ্পত্তি হওয়ার জন্য মহানগরের ক্ষেত্রে ৬০ (ষাট) কার্যদিবস সরকার কর্তৃক নির্ধারিত রয়েছে।
• নামজারির ক্ষেত্রে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের হেল্পডেস্ক (সেবাকেন্দ্র) হতে সর্বমোট 40 টাকায় সকল ফর্ম (কোর্ট ফি সহ) পাওয়া যায়। কাজেই এজন্য বাইরে অন্যদের নিকট হতে বেশি দামে ফর্ম বা কোর্ট ফি না কিনে এসি ল্যান্ড অফিস হতে নেয়াটাই বেশি সুবিধাজনক।
• নামজারি অনুমোদন হয়ে গেলে খতিয়ান গ্রহনের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি হল সর্বমোট ২৪৫/- টাকা।
• কোন প্রকার দালাল/ব্রোকার/মুন্সী ব্যতিত আপনি নিজেই নামজারির আবেদন করুন। প্রয়োজনে সরাসরি এসি ল্যান্ডের সাথেই কথা বলুন। [মোবাইল নম্বর: ০১৭৩৩৩৩৪৩৬০] 


উপদেশ   ঃ আসুন নিজে জানি এবং অন্যকে জানাই  , আইনের মাধ্যমে সমাজ এবং সম্পত্তি কে রক্ষা করি ।  
  
শেয়ার করতে বুলবেন না,
শেখ জাকির

শনিবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১৫

থানায় জিডি বা অভিযোগ করার নিয়ম সমুহ ?

 

১। কিভাবে থানায় কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ বা জিডি করবেন ?              ২। জিডি করতে কি টাকা লাগে ? 

 জেনেনিন সহজ ভাষায় ------

জনাব আপনি  বিভিন্ন ভাবে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারবে্ন,  তবে লিখিত অভিযোগ বা জিডি হচেছ সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম  হা  প্রথমে আপনি আপনার অভিযোগটি একটি সাধারণ ডায়েরির মাধ্যমে জানাবেন, যাকে  সংক্ষেপে জিডি বলা হআর এ ধরনের জিডি করার অর্থ হলো বিষয়টি সম্পর্কে থানাকে অবগত করা,যাতে থানা কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য অপরাধটি সংঘটিত হওয়ার আগেই ব্যবস্থা নিতে পারে।
 

কিভাবে থানায় কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ বা জিডি রবেন ঃ


১. থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সম্বোধন করে লিখতে হবে এবং থানার নাম ও ঠিকানা লিখতে হবে।
২. বিষয় : ‘জিডি করার জন্য আবেদন’- এভাবে লিখতে হবে।
৩. অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা করলে জিডিতে আশঙ্কার কারণ উল্লেখ করতে হবে।
৪. হুমকি দিলে হুমকি দেওয়ার স্থান, তারিখ, সময়, সাক্ষী থাকলে তাদের নাম, পিতার নাম ও পূর্ণ ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
৫. হুমকি প্রদানকারী পরিচিত হলে তার/তাদের নাম, পিতার নাম ও পূর্ণ ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে।
৬. অপরিচিত হলে তাদের শনাক্তকরণের বর্ণনা দিতে হবে।
৭. জিডি নথিভুক্ত করে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করতে হবে।
৮. সর্বশেষ জিডিকারীর নাম, স্বাক্ষর, পিতার নাম, পূর্ণ ঠিকানা ও তারিখ লিখতে হবেউল্লেখ্য, জিডি দুই কপি করতে হবে। এক কপি নথিভুক্ত করার জন্য থানায় জমা দিতে হবে, আরেক কপি থানার কর্মকর্তার সিল এবং জিডির নম্বর সংবলিত কপিটি যত্ন করে সংরক্ষণ করতে হবে।

 

জিডি করতে কি টাকা লাগে

জিডি করতে থানায় কোনো ফি দিতে হয় না।

 

উপদে

কাউকে হরানী করার উদ্দেশ্য জিডি কিংবা মি্যা মামলা দন্ডনীয় অপরাদ -----

 

সত্যি কি হরতাল জনগনের উপকারের জন্য ?

 আসুন মন্তব্য করি --------------
১ । সত্যি কি হরতাল জনগনের উপকারের জন্য ডাকা হয়  , না দলীও উপকারের জন্য ডাকা হয় আপনার বিভেকের কাছে প্রশ্ন রইল ??????

২। হা যদি বলেন  হরতাল জনগনের উপকারের জন্য ডাকা হয় ,     তাহলে  যারা রজণীতি করেন তাদের বিভেকের কাছে আমার প্রশ্ন হল হরতাল দারা আমাদের  জনগনের জন্য কি উপকার হচ্ছে বা অতীতে হয়েছিল  ???  একটু বলবেন ?

৩। যদি বলেন দলীও উপকারের জন্য তাহলে জনগনের নাম জরানো হয় কেন একটু  বলবেন  ? 




কোনো দলকে উদ্দেশ্য করে লিখা  নয়  , চাইলে যে কেউ প্রশ্ন বিষয়ে মন্তব্য  করতে পারেন ?
 http://youtu.be/Ly0w-XZWgLE


জমি বেদখল হলে করনীয় উপায় সমুহ -

আপনার জমি বেদখল হলে কি করবেন ----
 আসুন জেনে নেই, , 
 
যদি কোনো ব্যক্তি তার দখলকৃত জমি হতে  হঠাত্করে বেদখল হয়ে যান কিংবা কোনো ব্যক্তি তাকে জোড় পূর্বক ভাবে বেদখল করে তাহলে জমি হতে বেদখল হওয়ার পর তাকে   প্রথমে গ্রাম্য প্রধান  মুরুব্বীদের শরনাপন্ন হওয়া আথবা দেওয়ানী অথবা ফৌজদারী আদালতে মামলা করতে হবে
প্রকাশ থাকে যে ধরনের মামলা সাধারণত বেদখল হওয়ার তারিখ হতে মাসের  মধ্যে সাধারনত শেষ হয়ে যায় ।

 যেকানে আপনি মামলা দায়ের করবেন ----
 
 আপনি যে এলাকার বাসিন্দা সে এলাকার এখতিয়ার বা আদালতের নির্দিষ্ট অঞ্চলের জন্য নিয়োজিত ১ম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করতে হবেউল্লেখ থাকে যে জমি হতে বেদখল হওয়ার আশংকা থাকলেও আশংকার তারিখ হতে মাসের মধ্যে ১ম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে উপরোক্ত ধারায় মামলা করা যাবে।

১৮৭৭ সালের দেওয়ানী আদালতে সুনিদিষ্ট প্রতিকার আইনের ধা্রা মতে  
  •  প্রকাশ থাকে যে , যদি কোনো ব্যক্তি তার দখলকৃত জমি হতে হঠাত্করে বেদখল হয়ে যান কিংবা কোনো ব্যক্তিকে জোড় পূর্বকভাবে বেদখল করা হয় তাহলে জমি হতে বেদখল হওয়া ব্যক্তি বেদখল হওয়ার পর দেওয়ানী আদালতে মামলা করতে হবেবেদখল হওয়ার তারিখ হতে মাসের মধ্যে
সম্পত্তির পরিমান অনুসারে যেখানে মামলা করবেন ---
১। বেদখল সম্পত্তির মূল্য যদি লাখ টাকা পর্যন্ত হয় তাহলে জমিটি যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার সহকারী  জজের নিকট মামলা দায়ের করতে হবে
২। বেদখল সম্পত্তির মূল্য যদি লাখ টাকা থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত হয় তাহলে জমিটি যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার সিনিয়র সহকারী জজের নিকট মামলা দায়ের করতে হবে
৩। বেদখল সম্পত্তির মূল্য যদি  লাখ টাকা থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত হয় তাহলে জমিটি যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার যুগ্ন জেলা জজের নিকট মামলা দায়ের করতে হবে
৪। বেদখল সম্পত্তির মূল্য যদি লক্ষ টাকা থেকে অসীম পর্যন্ত হয় তাহলে জমিটি যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার জেলা জজ অথবা অতিরিক্ত জেলা জজের নিকট মামলা দায়ের করতে হবে
প্রকাশ থাকে যে দেওয়ানী আদালতে ১৮৭৭ সালের সুনিদিষ্ট প্রতিকার আইনের এবং ৪২ ধারা অনুযায়ী
যদি কোনো ব্যক্তি তার দখলকৃত জমি হতে বেদখল হয়ে যায় এবং বেদখল হওয়া জমিটিতে তার মালিকানা থাকে তাহলে জমিটিতে দখল ফিরে পাবার জন্য বেদখল হওয়ার পর এখতিয়ার ভুক্ত দেওয়ানী আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে তবে বেদখল হওয়ার তারিখ হতে ১২ বছরের মধ্যে মামলা করত
  যেখানে মামলা করতে হবে   -----
 
১। বেদখল সম্পত্তির মূল্য যদি লাখ টাকা পর্যন্ত হয় তাহলে জমিটি যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার সহকারী জজের নিকট মামলা দায়ের করতে হবে
২। বেদখল সম্পত্তির মূল্য যদি লাখ টাকা থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত হয় তাহলে জমিটি যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার সিনিয়র সহকারী জজের নিকট মামলা দায়ের করতে হবে
৩। বেদখল সম্পত্তির মূল্য যদি  লাখ টাকা থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত হয় তাহলে জমিটি যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার যুগ্ন জেলা জজের নিকট মামলা দায়ের করতে হবে
৪। বেদখল সম্পত্তির মূল্য যদি লক্ষ টাকা থেকে অসীম পর্যন্ত হয় তাহলে জমিটি যে এলাকায় অবস্থিত সেই এলাকার জেলা জজ অথবা অতিরিক্ত জেলা জজের নিকট মামলা দায়ের করতে হবে

 
 
উপদেশ ঃ আসুন জাতি উন্নয়নে একে অপরকে সাহায্য করি,  শিক্ষার হার বিস্তার করি সম্পদ কে রক্ষা করি , দেশকে বাচাই নিজে সুস্থ থাকি এবং সমাজ কে সুস্থ রাখি ।
                                  শেখ জাকির